“১৭ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর, রাজনৈতিক উত্থান ও পতনের গল্প”
“লুৎফুজ্জামান বাবরের মুক্তি: ২০০৭ সাল থেকে ১৭ বছরের কারাবাস শেষে নতুন অধ্যায়ের সূচনা”
২০০৭ সাল থেকে কারাগারের অন্ধকারে কাটানো দীর্ঘ ১৭ বছর। রাজনীতি, বিতর্ক, এবং বিচারের লম্বা পথ অতিক্রম করার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন একসময়কার প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ লুৎফুজ্জামান বাবর। আজ আমরা জানব, তাঁর উত্থান, বিতর্কিত অধ্যায়, এবং কারাগার থেকে মুক্তির গল্প।”
“লুৎফুজ্জামান বাবরের জন্ম ১৯৫৮ সালের ১০ অক্টোবর, নেত্রকোনার নান্দাইলে। শৈশব থেকেই ছিলেন মেধাবী এবং নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ। ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোনা-৪ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নিজেকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনি পরিচিতি পান শক্তপোক্ত প্রশাসক হিসেবে।”
“২০০৪ সালের ১ এপ্রিল, চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাটে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় বাবরকে প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। একই বছর ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় তাঁর নাম উঠে আসে। ২০০৭ সালে তিনি গ্রেফতার হন এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। বাবরের এই অধ্যায় দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি করে।”
“২০০৭ সাল থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর কারাগারে কাটান লুৎফুজ্জামান বাবর। আদালতে একের পর এক মামলার শুনানি, সাজা এবং আপিলের মধ্য দিয়ে সময় গড়াতে থাকে। কারাগারের অন্ধকারে কেটে যাওয়া এই সময় তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিন অধ্যায় হয়ে ওঠে।”
“২৪এ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যায়। ফ্যাসিবাদ পালায়নের ঠিক ৬মাসের মাথায়, ১৭ বছর পর অবশেষে মুক্তি পেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর। উচ্চ আদালত থেকে চট্টগ্রামের ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের মামলায় তাঁর যাবজ্জীবন সাজা এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের মৃত্যুদণ্ডের রায় থেকে খালাস পান তিনি। ২৫এর ১৬জানুয়ারি কারাগার থেকে বের হলে সমর্থক ও কর্মীরা ফুলের মালা দিয়ে তাঁকে বরণ করেন।”
“লুৎফুজ্জামান বাবরের জীবনের উত্থান, পতন, এবং দীর্ঘ বন্দিদশার অবসান আমাদের রাজনৈতিক ও বিচার ব্যবস্থার জটিলতাকে প্রতিফলিত করে। আজ, ১৭ বছর পর তাঁর মুক্তি এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল। সময়ই বলে দেবে, এই অধ্যায়ের পরিণতি কীভাবে রচিত হবে।
Leave feedback about this