রিপোর্ট মোঃ সোহেল – দেশব্যাপী এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যা বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক উত্তেজনা, ভাঙচুর এবং সহিংসতার ঘটনা ঘটে চলেছে। এই সহিংসতা শুরু হয়েছে শেখ হাসিনার দলীয় পেইজে ভাষণ দেয়ার প্রতিবাদে। রাজধানী ঢাকা, ধানমন্ডির শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর থেকেই একদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এমনি এক উত্তেজনা, খুলনা নগরের ময়লাপোতা এলাকায় অবস্থিত ‘শেখ বাড়ি’র একটি অংশ এক্সকাভেটর দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এই সহিংসতায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের পৈতৃক বাড়ি ‘বায়তুল আমান’ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলে বিক্ষুব্ধ জনতা। কুষ্টিয়ায়ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়ির একটি অংশ এক্সকাভেটর দিয়ে ভাঙা হয়েছে।
এছাড়া, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে অবস্থিত গ্রামের বাড়ি বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। লক্ষ্মীপুরের এক অভূতপূর্ব ঘটনায় সাবেক যুবলীগ নেতা একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয় এবং তার চারতলা ও পাঁচতলা বিশিষ্ট দুটি বাসভবন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই সময়েই, অন্যান্য আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়িতেও হামলা হয়। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হোসেন লোটাস, ও মাহমুদুন নবী সোহেলের বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়।
এই উত্তেজনা কেবলমাত্র দক্ষিণাঞ্চল বা পূর্বাঞ্চলে সীমাবদ্ধ নেই, বরং দেশের অন্যান্য বিভাগও এতে আক্রান্ত হয়েছে। ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল এবং সিলেটের বিভিন্ন জেলায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতি দেশে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে, যেখানে প্রতিটি ঘটনায় দেশের রাজনীতির এক বিপর্যয়কর চিত্র ফুটে উঠেছে।
এই ভাঙচুর ও সহিংসতার প্রেক্ষিতে এখন দেশব্যাপী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি হয়েছে, কিন্তু জনগণের মধ্যে বিরোধী পক্ষের মধ্যে ক্ষোভের বিস্তার এবং উত্তেজনার প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে।
Leave feedback about this