রিপোর্ট: মোঃ সোহেল- ফেনী আলিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে মামলার ব্যাপারে অব্যাহতি দেওয়ার আশ্বাসে জামায়াতের রুকন জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠেছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জেলা জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আ.ন.ম. আব্দুর রহিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগের দিন, ৯ ফেব্রুয়ারি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে জাকির হোসেনের তিন লাখ টাকার চাঁদা দাবির একটি ফোন কল রেকর্ড, যা ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের।
ফেনী জেলার জামায়াতের দীর্ঘদিনের পরিচিত সুনাম থাকার পরও, এই অভিযোগের পর সেই সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। জানা গেছে, ফেনী শহরের পরিবহন স্ট্যান্ডগুলোতে জাকির হোসেন চাঁদা আদায় করেছেন। তিনি ফেনী শহর শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি পদ ব্যবহার করে সদর হাসপাতাল মোড়ের সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে ৭০ হাজার এবং মহিপাল স্ট্যান্ড থেকে ১ লাখ টাকা নিয়েছেন।
এছাড়া, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না হয়েও ‘মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড’ নামে একটি সংগঠনের অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে এ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় অনুমোদন সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এক ব্যক্তি, ইউনুছ রুবেল, ঢাকা পোস্টকে জানান, ১৪ আগস্ট রাতে তার বন্ধু কুমিল্লা থেকে এসে ফেনীর একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন। সেদিন জাকির হোসেন ওই হোটেলে গিয়ে তার মোবাইল, নগদ টাকা, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন। পরে বিষয়টি ফেনী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি আকারে রেকর্ড করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জামায়াত নেতা জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানান, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে এবং তিনি এসব অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত নন। তবে, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, কারণ এ ধরনের কার্যকলাপ কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে মাওলানা মাহমুদুল হাসানের কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেনী সমন্বয়ক ওমর ফারুক শুভকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।